প্রকাশিত: Fri, Dec 23, 2022 4:14 PM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 2:20 AM

মির্জা ফখরুলসহ কারাবন্দী নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি

খালিদ আহমেদ: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দী জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বিএনপি বলছে, কারাবন্দী নেতাদের প্রায় ২৪ ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রাখা হচ্ছে। তাদের মানসিক নির্যাতনে রাখা হচ্ছে। এটা মানবাধিকার ও সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। 

বিএনপির দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রিন্স বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ শীর্ষ নেতারা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। গায়েবি মামলায় বয়োজ্যেষ্ঠ এই নেতাদের কারাবন্দী করায় তাদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটছে। কারাগারে তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনেরা।

সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী অনেক নেতা ডিভিশন পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু অনেককে এখনো ডিভিশন দেওয়া হয়নি। কারাবন্দী নেতাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। তাদের জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু বারবার তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হচ্ছে। তারা গুরুতর অসুস্থ। তারা বয়োজ্যেষ্ঠ। তা সত্ত্বেও সরকারের নির্দেশে তাদের জামিন দেওয়া হচ্ছে না।


বিএনপির নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এমরান সালেহ। তিনি বলেন, কারাগারে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে, তা অতীতে দেখা যায়নি। কারাবিধি অনুযায়ী, তাদের সেলের তালা দিনের বেলা খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় ২৪ ঘণ্টা তাদের তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখা হচ্ছে। ভেতরে তাদের মানসিক নির্যাতনে রাখা হচ্ছে বলে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে তারা জানতে পারছেন।

এমরান সালেহ বলেন, বিএনপির নেতাদের আত্মীয়-স্বজনেরা যখন কারাগারে দেখা করতে যান, কল দেন, তখন দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এগুলো কারাবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। একই সঙ্গে মানবাধিকার ও সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন সবশেষ গত বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নামঞ্জুর হয়। এর আগে তিনবার দুজনের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব